শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

অবশেষে নারী উত্যক্তকারী প্রতারক শাহিন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ : অবশেষে কারাগারে ঠাঁই হল বাহুবলের নারী উত্যক্তকারী প্রতারক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শাহিনের। গত কয়েক বছর যাবত শাহিনের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলার অলুয়া গ্রামের একটি নিরীহ পরিবার। পরিবারটি শাহিনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসন থেকে শুরু করে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু শাহিনের কবল থেকে মুক্তি পাননি। শাহীন ওই পরিবারের শিক্ষানবিশ আইনজীবী মেয়ের সাথে বিয়ের ভুয়া এফিডেভিট দেখিয়ে প্রতারণা করেছেন।

একইসাথে ফেসবুকে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের বাজে মন্তব্য করতেন। টাকা চাইতেন পরিবারের কাছে। শেষপর্যন্ত ওই শিক্ষানবিশ আইনজীবীর বাবা শাহিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দু’টি মামলা করেন।

শাহীন বাহুবল উপজেলার শংকরপুর গ্রামে মৃত মোঃ রাজা মিয়ার ছেলে। ওই মামলাগুলোতে শাহিনের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের জন্য হাজির হন। বিচারক জামিন না-মঞ্জুর শাহিনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

জামিন শুনানীতে বাদিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন, এডভোকেট ফজলে আলী, এডভোকেট সিরাজুল মীর, এডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান, এডভোকেট রেজাউল আলম খান, এডভোকেট আজিজুর রহমান সজল, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, এডভোকেট সুমায়েল। আসামীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, এডভোকেট তাজউদ্দিন আহমেদ সুফী।

বাদীপক্ষের প্রধান কৌশলী সিরাজ আলী মীর জানান, জামিন শুনানী শেষে শাহিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তিনি বলেন, আমরা বাদিপক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায়, আমাকেও হুমকি দেন শাহিন। শেষপর্যন্ত ঢাকা আদালত থেকে মিথ্যা এফিডেভিটের বিষয়টি উদ্ধার করি।

মামলার বাদি ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীর পিতা বলেন, ‘শাহীন দীর্ঘদিন যাবত আমার মেয়েকে উত্যক্ত করছে। বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা ফেসবুকে প্রচার করতো। আমার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব আসলে পাত্রপক্ষকে মিথ্যা তথ্য দিতো। আমার মেয়ে ও আমরা তার যন্ত্রণা এবং ভয়ে অতিষ্ঠ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com